Search This Blog

Wednesday, October 19, 2016

কিভাবে অনলাইনে টিশার্ট সেল করবেন – টিস্প্রিং এর বিস্তারিত গাইডলাইন


Shovon

আমি শোভন লাল। ইন্টারনেট মার্কেটিংনিয়ে কাজ শিখছি, করছি।

                                               

অনলাইনে টিশার্ট বিক্রির বিষয়টি আজ আর নতুন কোন বিষয় নয়। অনলাইনে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের অন্যতম পছন্দের বিষয় হল টিশার্ট সেলিং বিজনেস।
একটা সময় ছিল যখন অনলাইনে টিশার্ট সেল করাটা খুব সহজ বিষয় ছিল না। এটা করার জন্য আস্ত একটা টিশার্টের দোকান থাকাটা খুব জরুরি ছিল। কিন্তু ২০১৬ তে এসে বিষয়টা খুব সিম্পল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে অনলাইনে টিশার্ট সেল বলতে আমরা  Teespring কেই বুঝি । অনলাইনে টিশার্ট সেলের জন্য আপনি অনেক প্লাটফর্ম পাবেন। তবে এগুলোর মধ্যে Teespring -ই  সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।


একটা টিশার্ট তৈরির জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হয়-

  • ডিজাইন ক্রিয়েট করা
  • টিশার্টের উপর ডিজাইনটি প্রিন্ট করা
  • টিশার্টের গুনগত মান নিশ্চিত করা
ভেবে দেখুন, এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার কী পরিমাণ পরিশ্রম, সময় ব্যয় ও অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হত ! কিন্তু এগুলোর কিছুই আপনাকে করতে হবে না !
কারন Teespring হলএমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি খুব সহজেই এই কাজ গুলি করতে পারবেন।এমনকি আপনি যে টিশার্ট গুলো সেল করবেন সেটা কাস্টমারের নিকট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজটিও Teespring করবে।এজন্য Teespring আপনার কাছ থেকে কোন রকম এক্সট্রা চার্জ নেবে না।
অর্থাৎ এটা এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনার লস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।আপনার কাজ শুধু সেল করা ও মুনাফা করা।
তবে Teespring আপনাকে তখনই পে করবে যখন আপনি আপনার সেলস টার্গেট পুরন করবেন।ভাবনায় পরে গেলেন ? ভাবনার কিছু নেই।খুব বড় কোন সেলস টার্গেট আপনাকে পুরন করতে হবে না।সবচেয়ে মজার বিষয় হল আপনার সেলস টার্গেট আপনি নিজেই ঠিক করে নেবেন।এটা ১০ টা টিশার্ট-ও হতে পারে ! অর্থাৎ কোন কিছুই আপনার সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেনা।
তাহলে এখন প্রশ্ন হল Teespring কিভাবে লাভ করে এখান থেকে ? সত্যি কথা বলতে কী, এই সব কিছুই হবে তখন, যখন আপনার সেলস ক্যাম্পেইনটি TIP করবে। অর্থাৎ আপনি আপনার সেলস টার্গেট পুরন করবেন এবং এটা অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হতে হবে। শিপমেন্টের পর কাস্টমার যখন পে করবে তখনই কেবল Teespring সব খরচ বাবদ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে নেবে।এছাড়া আপনাকে আর কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না।

আপনাকে শুধু মার্কেটিং এর দিকটা মাথায় রাখতে হবে। আপনার মার্কেটিং যত ভালো হবে তত বেশি সেল পাবেন আপনি। আর আপনার মুনাফা বাড়তে থাকবে তরতর করে।

কিভাবে শুরু করবেন ??


টিশার্ট সেলিং বিজনেস শুরু করাটা একটা দারুন বেপার । আর এখান থেকে প্রচুর ইনকামও হবে আপনার। কারন এখন অনলাইনে কেনাকাটা করাটা মানুষের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। এটা ভাবাটা খুবই বোকামি হবে যে এই মার্কেটের চাহিদা কখনো ফুরিয়ে যাবে। বরং দিনে দিনে এটা আরও বাড়বে।
টিশার্ট সেলিং বিজনেস শুরু করাটা খুবই সহজ। নিচের ধাপ গুলো ফলো করলেই আপনি দারুন ভাবে শুরু করতে পারবেন-
  • রিসার্চ
  • ডিজাইন
  • ক্যাম্পেইন সেটআপ
  • মার্কেটিং
  • সফল ক্যাম্পেইন রিলঞ্চিং
Teespring এ কোন ক্যাম্পেইন সফল হলে সেই ক্যাম্পেইনটি আপনি অন্য প্লাটফর্ম গুলোতে চালালেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কাজের মুল স্টেপ গুলোতে যাওয়ার আগে একটা বিষয় বলা দরকার । সেটা হল আপনার প্রতিটা ডিজাইন হয়ত সমান ভাবে সফল হবে না । আবার এমন হতে পারে যেটা নিয়ে আপনি তেমন আশা করেননি সেটাই খুব ভালো ব্যবসা করছে। আসলে এখানে আপনাকে বিভিন্ন নিশ ও ডিজাইন বারবার ট্রাই করতে হবে। কিন্তু আপনি যে সফল হবেনই এটা নিশ্চিত। আপনাকে কেবল ধৈর্য ধরে এটাতে লেগে থাকতে হবে।
চলুন তাহলে মুল আলোচনায় এগোনো যাক-

ধাপ-১ঃ নিশ সিলেক্ট করতে হবে
অন্য যেকোনো মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মতই এখানেও আপনাকে প্রথম যে কাজটি করতে হবে তাহলো আপনি যে নিশ সিলেক্ট করেছেন তার অডিয়েন্সকে ভালোমত জানা। আপনি আপনার অডিয়েন্সকে যত ভালো ভাবে জানবেন তাদের জন্য টিশার্ট ডিজাইন করা তত সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।
টিশার্ট লোকে কেন কেনে এবং কোন কোন বিষয় একজন ক্রেতাকে টিশার্টটি দেখামাত্রই তা কিনতে উদ্বুদ্ধ করে এটা বুঝতে পারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এটাই Teespringএ সফলতার মূলমন্ত্র।
ধরুন, আপনি কোন কমিউনিটিকে টার্গেট করে টিশার্ট সেলিং ক্যাম্পেইন শুরু করতে চাচ্ছেন। এখন আপনি যদি ঐ গ্রুপের লোকেদের রুচিটা বুঝতে পারেন তাহলেই কিন্তু আপনি উইনার।
এখন কথা হল কোন কোন বিষয় একজন ক্রেতাকে টিশার্টটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করে ?
সফলতার মূলমন্ত্র হল একজন ব্যক্তির আবেগের জায়গাটা বুঝতে পারা। প্রত্যেক ব্যক্তিই কোন না কোন ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ। এটা হতে পারে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা বা তার পেশা বা অন্য কোন কিছু। যেটাকে সে খুব ভালবাসে, গর্ববোধ করে ও একই সাথে সম্মান করে। এই ব্যাপারটি বুঝতে পারাটাই মূল বিজনেস। আপনি যত ভালভাবে এই জিনিসটি বুঝতে পারবেন আপনি তত বড় মার্কেটার।
উদাহরণ হিসেবে NURSE নিশের টিশার্টের কথা বলা যেতে পারে। যারা নার্স তারা তাদের পেশাটিকে খুব ভালবাসে ও এটা নিয়ে তারা গর্ববোধ করে। একারনেই এই নিশের টিশার্টের সেল এত বেশি।
1
একই কথা ডাক্তারদের বেলায় নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কারন তাঁদেরকে Professionalism ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়। তার মানে এও নয় যে আপনি এঁদেরকে নিয়ে টিশার্টের ক্যাম্পেইন করতে পারবেন না। হয়ত সেলটা একটু কম হতে পারে।
আবার, কিছু মানুষ আছে যারা তাদের পছন্দের কথা সবার সাথে শেয়ার করতে ভালবাসে। আপনি যদি এদেরকে খুজে পান এবং এদের আবেগের দিকটি মাথায় রেখে টিশার্ট ডিজাইন করেন তাহলে আপনার সেল নিশ্চিত ভাবে কয়েক গুন বেড়ে যাবে।
এখন কথা হল আপনি কিভাবে এদেরকে সহজে খুঁজে পাবেন ? আমি আপনাদের একটু হেল্প করতে পারি এ ব্যাপারে। অনেক নিশ আছে। নিশগুলো এরকম হতে পারে-
pet owners, hobbies, gym, cars, guns, music, dancing, T.V shows, gamesপ্রভৃতি।
অন্য আরেকটি যে কারনে টিশার্ট বেশি সেল হয় তাহলো আপনাকে বাজারের বর্তমান TREND টা বুঝতে হবে। এটার সাথে যদি আপনি অডিয়েন্সের আবেগটাকে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই আপনি বাজিমাত করতে পারবেন।

কিভাবে আপনি নিশ খুঁজে পাবেন ?

যেহেতু আমরা আমাদের টিশার্টের প্রচারণার বেশির ভাগই ফেসবুকে করব তাই চলুন ফেসবুক দিয়েই শুরু করা যাক।
এমন যদি হত আপনি এমন একটা সাইট খুঁজে পেলেন যেখানে ফেসবুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্যানপেজ গুলোকে অনায়াসেই খুঁজে পাওয়া যায়! এটা কিন্তু আপনাকে আপনার নিশ খুঁজে পেতে খুব ভালোভাবেই হেল্প করবে।
এরকম একটি ওয়েবসাইট হল Fanpagelist.com
2
এটার হোমপেজ দেখেই বুঝতে পারছেন এটা থেকে কি বিশাল সার্ভিস আপনি পেতে যাচ্ছেন। এটাকে আপনি ফেসবুকের সব ফ্যানপেজ, সেলিব্রেটি, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডস প্রভৃতির ডিকশনারি বললেও ভুল হবেনা।
এটা ব্যবহার করাও খুব সহজ। ধরুন, আপনি TV Shows এ ক্লিক করলেন। সঙ্গে সঙ্গে ও আপনার সামনে টিভি চ্যানেল গুলোর একটা বিশাল লিস্ট নিয়ে হাজির হবে। এখন আপনি FOX টিভি সিলেক্ট করলে নিচের মত একটা পেজ আসবে।
3
এখান থেকে আপনি FOX টিভিতে প্রচারিত সকল জনপ্রিয় প্রোগ্রামের ফ্যানপেজের লিস্ট [যদি ফেসবুকে থেকে থাকে] দেখতে পাবেন। এখানে আপনি ঐ পেজের র‍্যাঙ্কিং-ও দেখতে পাবেন।
আমার মনে হয়, আপনার এই একটা ওয়েবসাইট-ই যথেষ্ট যা থেকে আপনি অসংখ্য নিশ সহজেই খুঁজে পাবেন।
এছাড়াও ফেসবুক নিয়ে রিসার্চ করার জন্য খুব কাজের একটা টুল রয়েছে ফেসবুকের ভিতরেই। এটার নাম Audience Insight যেখানে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সম্পর্কে হিউজ ইনফরমেশন পাবেন। এই টুলটি আপনি খুঁজে পাবেন ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারের মধ্যে।
এর ঠিক বামদিকে Campaigns এর নিচে আপনি Audience Insightপাবেন।
4
ভিতরে ঢোকার পর আপনি নিচের চিত্রের মত পাবেন-
5
এরপর এটা খুব সোজা। আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তার টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজে পেতে আপনি এই পেজের বামদিকে ইনফরমেশন গুলো দিন। আপনি এখানে Location, Age, Gender, Interestsপ্রভৃতি ক্ষেত্রে কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।
Location, Age, Gender এগুলো খুব বেসিক বিষয় এবং খুব সহজ। তাই এটা নিয়ে আলোচনা না করে Interest নিয়ে আলোচনা করা যাক। কারন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ধরুন, আমার নিশ The Simpsons. এটা লিখে Enter দিলে নতুন একটা পেজ আসবে। নিচের মত-
6
দেখা যাচ্ছে, এই নিশ রিলেটেড ১৫-২০ মিলিয়ন একটিভ ইউজার আছে ফেসবুকে। নারীদের চেয়ে ২৩% বেশি পুরুষ আছে এই নিশ রিলেটেড। এবং এই অডিয়েন্সের ৫০% এর বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। আপনি এটাও হয়ত খেয়াল করেছেন এই ডাটা ৬ টি ট্যাবে বিভক্ত।
  • Demographics
  • Page Likes
  • Location
  • Activity
  • Household
  • Purchase
Age ও Gender রিলেটেড ইনফরমেশনের সাথে Demographics একদম নিচে আপনি Job Title নামে আরেকটি Box দেখতে পাবেন।
7
Page Likes ট্যাবে ক্লিক করলে আপনি দুইটা বক্স দেখবেন-Top Categories এবং Page Likes.ইউজাররা যে বিষয় গুলোতে ইন্টারেস্টেড অর্থাৎ যেগুলোতে তারা LIKE দিয়েছে, সেই ইনফরমেশন গুলো Top Categoriesএ দেখায়। আর যে পেজ গুলো প্রত্যক্ষ ভাবে এই নিশ রিলেটেড নয় সেগুলোর ইনফরমেশন দেখায় Page Likesএ। এটাই এর বিশেষত্ব।
8
আপনি যে এরিয়া সিলেক্ট করেছেন সেই এরিয়ার ভিতরে টপ সিটি গুলোর ইনফরমেশন দেখাবে Location ট্যাবের ভিতর।
Activity ট্যাবের মধ্যে আপনি দুই ধরণের ডাটা দেখতে পাবেন।
  • Frequency of Activities
  • Device Users
9
Household ট্যাবের মধ্যে ফেসবুক ৬ ধরণের তথ্য প্রদর্শন করে।নিচে দেখুন-
  • Household income
  • Home Ownership
  • Household Size
  • Home Market Value
  • Spending Methods
এই তথ্য গুলো ফেসবুক বিভিন্ন থার্ড পার্টি ডাটা কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করে যারা ফেসবুকের নিকট এই তথ্যগুলো বিক্রি করে।
Purchase ট্যাবে আপনি চার ধরণের ইনফরমেশন পাবেন। এগুলোও আগের মতই বিভিন্ন ডাটা কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা।
এখান থেকে আপনি আপনার নিশ রিলেটেড অডিয়েন্সের ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন। নিচে দেখুন-
10
ধাপ-২ঃ ডিজাইন ক্রিয়েট করতে হবে
এখন আপনি আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। তাদের চাহিদা সম্পর্কেও বেশ ভালভাবে জানেন আপনি। তাই তাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে একটা আকর্ষণীয় ডিজাইন আপনি এখন করতেই পারেন।
ভাল সেলের জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার অডিয়েন্স রিলেটেড একটি আকর্ষণীয় ডিজাইন ক্রিয়েট করতে হবে। কিন্তু আপনি এটা জানেননা যে কোন ডিজাইনটি আপনার অডিয়েন্স পছন্দ করবে।
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কোন ভালো ডিজাইনারকে দিয়ে ডিজাইনটি করিয়ে নেবেন। হ্যাঁ, এটা সম্ভব। কিন্তু আপনার ডিজাইনার কিন্তু আপনার অডিয়েন্সকে অতটা ভালভাবে জানে না ঠিক যতটা আপনি জানেন। হয়ত তার করা ডিজাইনে আপনি অনেক ভালো সেল পাবেন। কিন্তু এর সম্ভাবনা অনেক কম।
আবার প্রথম বারেই যে আপনি খুব ভালো সেল পেয়ে যাবেন এমনটা নাও হতে পারে। এমনও হতে পারে কয়েকবারের চেষ্টার পর আপনি হয়ত কয়েকটা সেল পেলেন!
তাহলে আপনি কী করবেন !আমি আগেই বলেছি ভাবনার কিছু নেই। সব সমস্যার সমাধান আছে। আপনি এই আইডিয়া গুলো কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
যে ডিজাইন গুলো ইতিমধ্যে ভালো সেল পেয়েছে সেগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন। পুরোপুরি কপি না করে ডিজাইনটা একটু নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারেন। হুবহু কপি করবেন না। তাহলে Copyright আইনে ঝামেলায় পরতে পারেন।
কিভাবে খুঁজে পাবেন সাকসেসফুল ডিজাইন গুলো
টিশার্টের যেই ডিজাইন গুলো খুব ভালো সেল হচ্ছে Teespring সেগুলো আলাদা ভাবে দেখায়। এখানে গেলে ডিজাইন গুলো দেখতে পাওয়া যাবে Teespring.com/discover.
11
আরও একটা ওয়েবসাইট হল Teescover.com এখান থেকেও আপনি অনেক আইডিয়া পেতে পারেন-
12
এখানে আপনি ফিল্টার সহ সার্চিং এর সুবিধা পাবেন
13
আরও কয়েকটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা নিচে দেওয়া হল-
  • Wanelo.com
  • Bustedtees.com
  • Snorgtees.com
এছাড়াও আপনি গুগলেও সার্চ করে ভালো আইডিয়া পেতে পারেন। বিশেষ করে গুগল ইমেজ সার্চ ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
14

ধাপ-৩ ক্যাম্পেইন সেটআপ
প্রথমেই আপনাকে Teespring এ একটা একাউন্ট খুলতে হবে।একাউন্ট খোলার পর যে পেজটি আসবে সেই পেজের উপরের দিকে Launch A Campaign” অথবা “New Campaign”ক্লিক করুন।
15
এখানে ক্লিক করার পর আপনি Create your Tee নামে একটি প্লাটফর্মে যাবেন, যেখানে আপনি আপনার টিশার্টের ডিজাইন করতে পারবেন। এখানে সব ধরণের সুবিধা রয়েছে।
16
ডিজাইন করার পর আপনাকে আপনার ক্যাম্পেইনের জন্য গোল সেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কমপক্ষে কয়টি টিশার্ট সেল করবেন তা ঠিক করে দিতে হবে।
17
গোল যত বড় হবে আপনার টিশার্টের উৎপাদন খরচ তত কম হবে। অর্থাৎ আপনার লাভের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি যে গোল সেট করেছেন তা পুরন করতে না পারলে Teespring কিন্তু আপনাকে কোন অর্থই পে করবে না।
আপনি আপনার কাস্টমারদের টিশার্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি অপশন দিতে পারেন। যেমন- hoodie, long sleeve প্রভৃতি। তবে প্রতিটার জন্য আলাদা আলাদা মুল্য পে করতে হবে। আপনার গোল যত বড় হবে আপনি তত বেশি কালার ও অপশন আপনি আপনার কাস্টমারদের অফার করতে পারবেন।
18
আমরা ইতিমধ্যে আমাদের গোল ও টিশার্টের মুল্য ঠিক করে ফেলেছি। আরেকটি উদাহরণ দিলে এটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
19
আপনার গোল যখন ১০ টি টিশার্ট তখন আপনার সম্ভাব্য মুনাফা $90+ এবং প্রতিটা টিশার্টে আপনার লাভ $9.
20
আবার, যখন আপনার গোল ১০০ টিশার্ট তখন সম্ভাব্য মুনাফা $1,125+ এবং প্রতিটা টিশার্টে আপনার লাভ $11.25.
তাই, একটু বুঝেশুনে গোল সেট করাটা জরুরি।
এখানে সবশেষে যে কাজটি করতে হবে তাহল add a description to your campaign
21
আপনি এখানে জা লিখবেন তার সবই আপনার অডিয়েন্স দেখতে পাবে। Campaign Title এ আপনি আপনার ক্যাম্পেইনের নাম দিবেন।
Description এ এমন কিছু দিবেন যা আপনার অডিয়েন্সকে টিশার্টটি কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।
আর Tags এ আপনি আপনার নিশ রিলেটেড Keyword গুলো দেবেন।
22
ক্যাম্পেইন কত দিন ধরে চালাতে চান টা এই ঘরে সিলেক্ট করে দিতে হবে। সময় খুব কম হলে আপনি হয়তো আপনার গোল এচিভ করতে পারবেন না, আর খুব বেশি হলে আপনার কাস্টমার খুশি হবে না। কারন সে তখন টিশার্টটি দেরিতে পাবে।
তাই এখানে একটু বুঝেশুনে টাইম সিলেক্ট করতে হবে।
পরবর্তী ধাপে আপনাকেurl সেট করতে হবে। এটা খুব সহজ। আপনার ক্যাম্পেইনের যে নাম সেটাই এখানে url হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
teespring.com/your campaign name
23
আপনি আপনার কাস্টমারকে টিশার্টটির শুধু সামনের না পিছনের না উভয় অংশ দেখাতে চান তাও কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
24
ধাপ-৪ঃফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুকে ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য আমরা নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করব-
  • Fan page Creation/Management
  • Ad placements
  • Analyzing the data
  • The decider
প্রথম কাজ হল একটা ফ্যান পেজ তৈরি
Fanpagelist.com থেকে আমরা ফ্যান পেজ গুলো কেমন হয় তার একটা ভালো ধারণা পেয়েছি। এখন নিজের একটা ফ্যান পেজ তৈরির পালা। এটা কঠিন কিছু নয়। খুব সহজেই আপনি এটা তৈরি করতে পারবেন।
ফ্যান পেজ হয় মুলত কোম্পানি, সেলিব্রেটি, প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির। কারন একটা ফেসবুক প্রোফাইল একজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অপর দিকে একটা ফ্যান পেজ সবসময় পাবলিক করা থাকে। এখানে লাইক দিকে যে কেউ এর সাথে যুক্ত থাকতে পারে। তাই বিজনেসের ক্ষেত্রে ফ্যান পেজ তৈরি করাই উত্তম।
25
অবশ্যই এটা একটা কমিউনিটি পেজ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এখানে সমমনা ব্যক্তিরা লাইক দিয়ে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকতে পারে।
ফ্যান পেজ তৈরির জন্য প্রথমেই একটা উপযুক্ত নাম ঠিক করে নিতে হবে। আপনি ফেসবুকে যে অ্যাড গুলো দেবেন তার সাথে আপনার পেজের নামটিও কিন্তু দেখাবে। তাই নামটি প্রাসঙ্গিক হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি দুই ভাবে আপনার ফ্যান পেজটাকে গড়ে তুলতে পারেন।
  • লাইক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে
  • পোস্ট বুস্ট করে
তবে দ্বিতীয়টি করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

কিভাবে ফেসবুকে অ্যাড দেবেন?

fb marketing
বিভিন্ন ধরণের ফেসবুক অ্যাড আছে। এগুলো হল-
  • Website Conversions,
  • Page Post Engagement
  • Like Campaigns.
26
এই গুলো থেকে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন Boost Your Posts  অপশনটি ব্যবহার করলে । এটা করলে আপনার পেজের এঙ্গেজমেন্ট যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি ফ্রীতে কিছু লাইকও পেয়ে যেতে পারেন। এক ঢিলে দুই পাখি মারা আরকি!
27
এঙ্গেজমেন্ট বলতে Like, Share, Comment বুঝানো হয়েছে।
আপনি যে পোস্টটি Boost করবেন তাতে আপনার টিশার্টের সেলস পেজের Link টি অবশ্যই থাকতে হবে।
28
আপনি যে পেজের পোস্ট বুস্ট করতে চাচ্ছেন সেই পেজটি প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে। পেজ ও পোস্ট সিলেক্ট করার পর আপনার অ্যাড সেট আপ করতে হবে।
প্রথমেই আপনাকে টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করতে হবে। এখান থেকে আপনি Locations, Age, Gender, Languages, Interests, Behaviours প্রভৃতি আপনার চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন করে দিতে হবে। এগুলো অবশ্য আগেই একবার দেখানো হয়েছে।
29
আপনি এই ক্যাম্পেইনের জন্য কত অর্থ ব্যয় করতে চাচ্ছেন তা নির্ধারণ করে দিতে হবে। আপনি $1 দিয়েও ক্যাম্পেইন শুরু করতে পারবেন। সেই সাথে কত দিনের জন্য ক্যাম্পেইন চালাতে চাচ্ছেন তাও সিলেক্ট করে দিতে হবে।
একই সাথে আপনি আপনার অ্যাডটি কোথায় দেখাতে চাচ্ছেন তাও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি দুইটি অপশন পাবেন-
  • Desktop
  • Mobile
30
31

ডাটা এনালাইসিস

আপনার অ্যাড কেমন কাজ করছে এটা যাচাই করে দেখাই হল ডাটা এনালাইসিস। এই কাজটি আপনি যত ভালো করে করতে পারবেন আপনি তত ভালো ব্যবসা করতে পারবেন। যে অ্যাডটি কাজ করছে না সেটা দ্রুত বন্ধ না করলে সেটি যেমন আপনার পুরো অর্থই খরচ করে ফেলবে তেমনি খুব দ্রুত অ্যাডটি বন্ধ করে দিলেও আপনি বুঝতে পারবেন না এটা প্রকৃত অর্থেই ব্যর্থ ছিল কিনা। এই ব্যাপারটা ভালভাবে বুঝতে হবে।
32
তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাডটি বন্ধ করে দিতে হবে না কন্টিনিউ করতে পারবেন ?  এক্ষেত্রে আপনি মূল ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে অল্প কিছু ডলার খরচ করে ক্যাম্পেইন চালিয়ে দেখতে পারেন এটি কাজ করছে কিনা! যদি কাজ করে তাহলে ত কোন প্রবলেম নাই। আর কাজ না করলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারন আপনি অনেক এমন কিছু ব্যক্তির ডাটা পেয়ে গেছেন যারা ভবিষ্যতে হয়তো আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে।
এছাড়াও আপনাকে আরও কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। সেগুলো হল-
  • আপনি কি সঠিক অডিয়েন্স নির্বাচন করেছেন
  • আপনার অডিয়েন্স কি অনলাইন থেকে টিশার্ট ক্রয় করে
  • আপনার অ্যাডটি কি যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল
  • টিশার্টের ডিজাইন কী আপনার অডিয়েন্সের জন্য পারফেক্ট ছিল
এই কাজটি করার জন্য আপনি ২৪ ঘণ্টার জন্য ক্যাম্পেইনটি চালিয়ে দেখতে পারেন। এটা করতে পারলে আপনি সফল হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
ধাপ-৫ঃ রিলঞ্চ করবেন কি করবেন না
কোন একটা উইনিং ক্যাম্পেইন আবার শুরু করা একটা দারুন ব্যাপার। অনেকেই বলেন এটা করার জন্য কিছু সময়ের বিরতি দেওয়া দরকার। তবে আসল কথা হল আপনার এটা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা উচিৎ।
33
কারন কেউ হয়ত আপনার ডিজাইনটা কপি করে সেল করা শুরু করে দেবে। আর আপনি যখন রিলঞ্চ করবেন তখন হয়তো ভালো সারা পাবেন না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা শুরু করা উচিৎ।
অনেক সময় ও ধৈর্য নিয়ে আর্টিকেলটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে রইল অনেক অনেক শুভ কামনা। আপনার বিজনেসের সাফল্য কামনা করে শেষ করছি। আরেকটি কথা, আর্টিকেলটা ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।


Related Links:

1 comment: